ভূমিকা
আজকের দুনিয়ায় অনেক রাষ্ট্র ও সমাজে আল্লাহর নাযিলকৃত আইন বাদ দিয়ে মানুষের তৈরি আইন কার্যকর করা হচ্ছে। অথচ কুরআন ও হাদিস স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে—আল্লাহর আইন ছাড়া অন্য আইন অনুসরণ করা শুধু অন্যায় নয়, বরং এটি ঈমানেরও জন্য বড় হুমকি।
কুরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহর আইন
আল্লাহ তাআলা সূরা আল-মায়েদার একাধিক আয়াতে বলেছেন:
“যারা আল্লাহর নাযিলকৃত আইন অনুযায়ী বিচার করে না, তারা কাফের।”
(সূরা মায়েদা ৫:৪৪)
“যারা আল্লাহর নাযিলকৃত আইন অনুযায়ী বিচার করে না, তারা জালিম।”(সূরা মায়েদা ৫:৪৫)
“যারা আল্লাহর নাযিলকৃত আইন অনুযায়ী বিচার করে না, তারা ফাসিক।”(সূরা মায়েদা ৫:৪৭)
এখানে তিনটি শব্দ ব্যবহার হয়েছে—কাফের, জালিম, ফাসিক। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা সতর্ক করেছেন যে, আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানুষের আইন কার্যকর করার চেষ্টার পরিণতি কত ভয়াবহ।
কেন আল্লাহর আইন শ্রেষ্ঠ?
মানুষের বানানো আইন সর্বদা সীমাবদ্ধ, পক্ষপাতমূলক ও পরিবর্তনশীল। কিন্তু আল্লাহর আইন:
- চিরন্তন ও অপরিবর্তনীয়
- ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে প্রণীত
- মানবজাতির প্রকৃত কল্যাণের জন্য নির্ধারিত
তাই আল্লাহর আইন ছাড়া মানুষের তৈরি আইন সমাজে কখনোই প্রকৃত শান্তি ও ন্যায় আনতে পারবে না।
যারা আল্লাহর আইনকে বাদ দেয়
কুরআনের আলোকে, যারা আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানুষের আইন বাস্তবায়নের চেষ্টা করে—
- কাফের: যদি তারা আল্লাহর আইনকে অস্বীকার করে।
- জালিম: যদি সত্য জানার পরও আল্লাহর আইন এড়িয়ে চলে।
- ফাসিক: যদি আল্লাহর আইনকে বিশ্বাস করে তবুও তা বাস্তবে কার্যকর না করে।
আল্লাহর আইন মানলে সমাজের উপকারিতা
- ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়: ধনী-গরিব সবার জন্য সমান আইন কার্যকর হয়।
- শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়: অন্যায়, জুলুম ও অপরাধ কমে যায়।
- আখেরাতে সফলতা লাভ হয়: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
উপসংহার
কুরআন আমাদের শিক্ষা দেয় যে, আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানুষের আইন বাস্তবায়নের চেষ্টা শুধু দুনিয়ার জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং আখেরাতেও এর ভয়াবহ শাস্তি রয়েছে। তাই প্রতিটি মুসলিমের উচিত আল্লাহর বিধান মেনে চলা এবং সমাজে সেটি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।