ভূমিকা
মানুষ প্রতিদিন নতুন নতুন পরিকল্পনা করে—বাড়ি বানানো, ব্যবসা বড় করা, সন্তান নিয়ে স্বপ্ন দেখা। ধনী আরও ধনী হতে চায়, গরিব দিন গুজরানেই খুশি থাকে। কিন্তু আমরা প্রায়ই ভুলে যাই, আমাদের নিঃশ্বাসের কোনো নিশ্চয়তা নেই। মৃত্যু অবধারিত, অথচ আমরা দুনিয়ার লোভ-লালসার পেছনে ছুটছি অন্ধভাবে। আজকের সমাজে এমনকি মা-বাবা ও সন্তানের মধ্যকার ভালোবাসাও শুকিয়ে যাচ্ছে। এই বাস্তবতা কি তবে শেষ যুগের আলামত নয়?
চাওয়ার শেষ কোথায়?
জীবন ভরা স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা,আজ গাড়ি, কালকে বাড়ি,
টাকার নেশায় দৌড়ের ছন্দে,
ভুলে যাই মৃত্যু দাড়ি।
গরিব খুশি অল্প ভাতে,
সন্তুষ্ট তার দিন কেটে যায়,
ধনীর মন ভরে না কখনো,
তার চাই শুধু, চাই আর চাই।
ভেবেছো কি কখনো তুমি,
নিঃশ্বাস যদি থেমে যায়?
এই দুনিয়ার ধন-সম্পদ,
সাথে কিছুই কি থাকবে যায়?
আজকের দুনিয়ায় অদ্ভুত দৃশ্য,
ভালোবাসা শুকিয়ে গেছে হৃদয় থেকে,
সন্তানের নেই টান মা-বাবার প্রতি,
মা-বাবারও স্নেহ নেই সন্তানের বুকে।
মা ডাকলে সন্তান সাড়া দেয় না,
বাবার ঘামকে মূল্য দেয় না,
নিজের স্বার্থে ব্যস্ত সবাই,
এ কেমন সমাজ, এ কেমন দুনিয়া?
হিসাবের ময়দানে দাঁড়াতে হবে,
সেদিন ধন-সম্পদ কিছুই চলবে না,
শুধু নেক আমলই হবে সঙ্গী,
আল্লাহর রহমত ছাড়া রক্ষা হবে না।
হে মানুষ, মনে রেখো তুমি,
আমরা কি তবে শেষ যুগে এসে পড়েছি?
যেখানে মায়া মমতা বিলীন,
আর অপরাধে ভরে গেছে প্রতিটি দিন।
হে মানুষ, থেমে যাও দুনিয়ার দৌড়ে,
মৃত্যু আসবেই নির্ধারিত,
আল্লাহর কাছে দাঁড়াতে হবে,
সেখানে শুধু আমলই হবে গন্যিত।
উপসংহার
আমাদের জীবন ক্ষণস্থায়ী। লোভ-লালসা, ধন-সম্পদ, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই কেবল দুনিয়ার জন্য। কিন্তু আখিরাতে এগুলো কোনো কাজে আসবে না। আল্লাহর কাছে মূল্যবান হবে কেবল সৎ আমল। তাই এখনো সময় আছে, আল্লাহর পথে ফিরে আসো, মায়া-মমতাকে ফিরিয়ে আনো, আর দুনিয়ার নয়—আখিরাতের জন্য প্রস্তুত হও।