আমরা কি সত্যিই এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে দোকানপাটে চাঁদা না দিলে মাথায় পাথর মারা হয়, ছাত্ররা শিক্ষার আলো নয় বরং খুনোখুনির রক্তে রঞ্জিত হয়? এ প্রশ্নই আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়। এই লেখায় আলোচনা করা হয়েছে কীভাবে স্বপ্নের বাংলাদেশকে আমরা আবার শান্তি, ন্যায় ও মানবতার পথে ফিরিয়ে নিতে পারি।
স্বৈরাচার চাঁদাবাজ,
রাস্তার মোড়ে দাঁড়ায় আজ।
দোকানপাটে দাবি তোলে,
শ্রমিকের ঘাম তারা হরণ করে।
ক্ষণে ক্ষণে উৎপাত বাড়ে,
ভয়ই যেন পথিক সারে।
হাসিমুখে বিষ ছড়ায়,
সবার স্বপ্ন ছিন্নভিন্ন করায়।
বিদ্যালয়ে শিক্ষা নয়,
রাজনীতির আগুন জ্বলে ক্ষয়।
কলেজ প্রাঙ্গণে রক্তের রেখা,
ছাত্রের প্রাণ যায় অকারণ দেখা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বই নয় হাতে,
দণ্ড-লাঠি ঘোরে পথে পথে।
খুনোখুনি, সংঘর্ষে রঞ্জিতো মাঠ,
ভবিষ্যতের আলো অন্ধকারে ঢাক।
সাদা পাথর পযন্ত পাই নাই—
রাক্ষা হয়ে যায় রাতারাতি গায়েব।
হাজার প্রাণের চিৎকার বাজে,
অন্যায়ের শৃঙ্খল ভাঙে না আজে।
সকলে ঘুমথো উঠে রাস্তায় বের হলে,
আবার আসবোকি ঘরে ফিরে,
এর নিশ্চয়তা নাই—
ভয়ই যেন ছায়া হয়ে দাঁড়ায়।
ব্যবসায়ি চাঁদা না দিলে,
পাথর মাথায় মেরে মেরে ফেলে।
এই কেমন মানুষরে ভাই,
তোদের কি মায়া-মমতা নাই?
পশুরাও তো এমন কাজ করে না,
মানুষ হয়েও কেন এমন হিংসা?
হৃদয় কি তোমাদের পাথরে গড়া,
রক্তের দামে কি গড়বে ধরা?
এ কি সেই বাংলাদেশ?
স্বপ্ন যেখানে হয় রক্তবেশ?
স্বাধীনতার আলো কি তাই ম্লান,
ভয়ে কাঁপে প্রতিটি প্রাণ?
না---
আমরা চাই মুক্ত সকাল,
ন্যায়ের বীজে গড়ুক সমকাল।
বিদ্যালয়ে হাসুক শিশু,
কলেজে জাগুক জ্ঞানবিস্তু।
বিশ্ববিদ্যালয় হোক আলোঘর,
যেখানে চিন্তা-স্বপ্নে ভরে অন্তর।
চাঁদাবাজ নয়, সন্ত্রাস নয়,
বাংলাদেশ হোক শান্তিময়।
আমাদের এখন সময় এসেছে প্রশ্ন করার এটাই কি সেই বাংলাদেশ যার জন্য লক্ষ প্রাণ উৎসর্গ হয়েছিল? এটাই কি সেই স্বপ্নযাত্রা, যার শেষে স্বাধীনতার আলো দেখা যায়?
আমরা চাই একটি বাংলাদেশ, যেখানে বিদ্যালয়ে বইয়ের গন্ধ থাকবে, কলেজে জ্ঞানের আলো জ্বলবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা আর সৃজনশীলতার স্রোত বইবে। ব্যবসায়ী বা সাধারণ মানুষ ভয়ে নয়, নিরাপত্তার অনুভূতিতে দিন কাটাবে।
একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক এবং শান্তিময় বাংলাদেশ গড়া আমাদের দায়িত্ব। অন্যায়ের শৃঙ্খল ভেঙে, চাঁদাবাজ ও স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করাই এখন সময়ের দাবি।