১৯৬৯ সালের Apollo 11 মিশনে প্রথম মানুষ চাঁদে পা রাখে। কিন্তু এর পর থেকেই এক শ্রেণির মানুষ দাবি করে আসছে যে নাসার এই মিশন নাকি ভুয়া, আসলে সবই হলিউড স্টুডিওতে শুট করা। এই বিতর্ককেই বলা হয় “Moon Landing Hoax”।
🚩 ষড়যন্ত্র তত্ত্ব (Hoax Theory)
যারা চাঁদে পদচারণা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাদের প্রধান যুক্তিগুলো হলো:
- ছবির ছায়া মিলছে না: এক আলো (সূর্য) থাকার পরও ছবিতে ছায়া ভিন্ন ভিন্ন দিকে পড়েছে।
- পতাকা নড়া: চাঁদে বাতাস নেই, কিন্তু ভিডিওতে আমেরিকার পতাকাকে নড়তে দেখা গেছে।
- তারকা নেই আকাশে: ছবিতে আকাশ কালো, কিন্তু কোনো তারকা দেখা যায়নি।
- রেডিয়েশন ঝুঁকি: ভ্যান অ্যালেন বেল্ট অতিক্রম করে মহাকাশচারীরা বেঁচে ফিরতে পারে না বলে অনেকের দাবি।
- ঠান্ডা যুদ্ধের প্রতিযোগিতা: আমেরিকা-সোভিয়েত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে রাজনৈতিকভাবে “মিথ্যা বিজয়” সাজানো হয়েছিল বলে অনেকে বিশ্বাস করে।
✅ বৈজ্ঞানিক প্রমাণ (Why It Was Real)
অন্যদিকে, বিজ্ঞান ও গবেষণার প্রমাণগুলো স্পষ্টভাবে দেখায় যে মিশনগুলো বাস্তব ছিল।
- চাঁদের শিলা: অ্যাপোলো মিশনে আনা ৩৮২ কেজি চাঁদের পাথর এখনো বিভিন্ন দেশে গবেষণায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলো পৃথিবীর কোনো শিলা নয়।
- তৃতীয় পক্ষের নজরদারি: সোভিয়েত ইউনিয়নসহ অনেক দেশ রাডার দিয়ে অ্যাপোলো মিশন ট্র্যাক করেছে। ভুয়া হলে সোভিয়েতরা প্রথমেই তা প্রকাশ করত।
- রেট্রোরিফ্লেক্টর: মহাকাশচারীরা চাঁদে বিশেষ আয়না বসিয়েছিলেন, যেখানে আজও লেজার রশ্মি পাঠালে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে।
- উন্নত ছবি: নাসার লুনার রিকনাইসেন্স অরবিটার চাঁদে অবতরণ স্থল ও মহাকাশচারীদের হাঁটার চিহ্ন পর্যন্ত স্পষ্ট ছবি তুলেছে।
- প্রযুক্তি ও রকেট: অ্যাপোলো প্রোগ্রামের স্যাটার্ন V রকেট তখন বাস্তবেই সফলভাবে পরীক্ষা ও ব্যবহৃত হয়েছিল।
📌 উপসংহার
ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলো যতই আকর্ষণীয় শোনাক না কেন, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ অনেক বেশি শক্তিশালী।
অ্যাপোলো মিশনগুলো নিছক আমেরিকার রাজনৈতিক প্রদর্শনী নয়, বরং পুরো মানবজাতির জন্য ইতিহাসের এক অসাধারণ অর্জন।
Tags:
World Mysteries