বাংলা ইউনিকোড ফন্ট তৈরির প্রক্রিয়া (পর্ব-১)

টাইপোগ্রাফী কাজটা বড় কঠিন কাজ বিশেষ করে বাংলা ফন্টর তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রায় বাংলা ৫০০-৬০০ অক্ষর এবং যুক্তাক্ষর এর একটা বিরাট অংশ নিয়ে কাজ করতে হয়। নতুন ফন্ট মানে নতুন ডিজাইনের নতুন ফন্ট তৈরি করা এই কাজটি আর্টিষ্টিরা অতি সহজেই করতে পারবেন। প্রথমেই সব ধরণের অক্ষরের একটা তালিকা তৈরী করে নিন।
তালিকায় যেসব অক্ষর থাকবে তা হলোঃ-
১. সবগুলো মৌলিক অক্ষর (সংখ্যা আকার ও কার সহ)
২. হসন্তযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ।
৩. ব্যঞ্জনবর্ণের অর্ধরূপ।(যদি কতেচান করতে পারেন দেখতে সুন্দর দেখার যাবে)
৪. সকল যুক্তাক্ষর গোছানো ভাবে
৫. ইংরেজি অক্ষর (যদি রাখতে চান)

 
ভেক্টর আঁকার জন্য সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হয়:-
ফন্ট তৈরীর জন্য:-
আমি ব্যবহার করি Adobe Illustrator, Font Lab
 
নিচের ছবিতে দেখুন গ্লিফ ইনডেক্সঃ-  
বাংলা অক্ষর, যুক্তাক্ষর ইত্যাদি গ্রাফ পেপার অঁকন করতে হবে। স্ক্রীনিং করে ভেক্টর আঁকার জন্য ইলেস্ট্রার এর Pen Tool দিয়ে অঁকন করতে হয়। এই কাজ করার জন্য ইলেস্ট্রার এর উপর অভিগতার দরকা। গ্লিফ অঁকন করার এবং সাইজ এর জন্য এই লিংক ডাউনলোড করুন ইলেস্ট্রার ফাইল নিচের ছবিতে দেখুন।
 
 
 
ধরে নিলাম আপনার টাইপ ডিজাইন তৈরী। এবার ফন্ট তৈরীর পালা। ইলেস্ট্রারে আঁকা অক্ষর ধরে নিলাম সেলেক্ট করে
Click File -> Click Copy (অথবা Ctrl+C ) আপনি কপি করুন।
নিচের ছবিতে দেখুনঃ-
 
এরপর আপনাদের যা করতে হবে তা হলো ফন্ট ডেভেলপমেন্ট করার সফ্টওয়্যারে আপনার তৈরী গ্লিফগুলো বসানো।
Font Lab open করে Click File -> Click New
নিচের ছবির মত করে সেলেক্ট করুন Unicode -> Ranges mode -> Bengali
নিচের ভিডিটি দেখুনঃ-

 গ্লিফ মনে করুন গ্লিফ Double click করে ওপেন করুন এবার Click File -> Click Paste অথবা Ctrl+V চাপু।
এবার নিচের ছবি মত করে সেটিং করুনঃ-
 
ইলেস্ট্রারে ভেক্টর আঁকা এবং ফন্ট ডেভেলপমেন্ট করার সফ্টওয়্যারে আপনার তৈরী গ্লিফ গুলো বসানোর জন্য ভিডিও গুলি দেখতে পারেন।



এই বাবে একটা একটা করে গ্লিফ গুলো FonLab এ সেট করতে হবে। সেট করা হয়ে গেলে Click File ->Generate Fonts
(অথবা Ctrl+Alt+G) আপনার ফন্ট তৈরি করা হয়ে গেলো। 

  হিন্টিংঃ--
হিন্টং হলো ছোট সাইজের অক্ষরগুলো দেখতে কেমন হবে সেটা পিক্সেল ধরে ধরে ঠিক করে দেয়া। হিন্টং কাজটা যথেষ্ট শ্রম, ধৈর্যের দরকা। ফন্টের সুপাঠ্যতা বাড়াতেই হিন্ট করতে হয়। সাধারণত লেখা লেখির কাজের জন্য বা প্রিন্টের জন্য হিন্টিং এর প্রয়োজন নেই।  এটা অপরিহার্য কিছু নয়। তারপরেও হিন্টিং ফন্টের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারন হলো আপনা তৌরি করা ফন্ট যদি কম্পিউটারের  স্ক্রিনে  ছোট সাইজের লেখা পড়াই না গেল তাহলে আপনার শ্রম অনেকাংশেই বৃর্থ হবে।
ভিডিও টি এই লিংক থেকে ডাউনলোড করে দেখতে পারেন।
হিন্টং সফ্টওয়্যা:-
  ইন্সআল্লাহ্ আগামী পর্বে ওপেনটাইপ ফিচার নিয়ে লিখবো।

<<-- ২য়পর্ব

Post a Comment

Previous Post Next Post