উত্তর : হজরত ইবরাহিম আলাইহি সালাম পবিত্র কাবা শরিফ নির্মাণ করেন। কাবার স্মৃতি চিহ্ন মুছে যাওয়ার পর আল্লাহর নির্দেশে তিনি হজরত ইসমাইলকে সঙ্গে নিয়ে কাবার জন্য নির্ধারিত স্থানেই কাবা নির্মাণ করেন।
উত্তর : কাবা শরিফকে বাম দিকে তাওয়াফ করতে হবে। সহজে বুঝার সুন্দর উপমা হলো- ঘড়ির কাঁটা যে দিকে ঘুরে তার বিপরীত দিকে কাবা শরিফ তাওয়াফ করতে হবে।
উত্তর : এটি একটি পাথর। যা প্রিয়নবি বাইতুল্লাহর দক্ষিণ-পূর্ব কোনো নিজ হাতে স্থাপন করেছেন। এখান থেকেই বাইতুল্লাহর দরজার দিকে তাওয়াফ শুরু করতে হয়।
উত্তর : একটি পাথরের নাম ‘মাকামে ইবরাহিম’। এ পাথরে দাঁড়িয়ে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম বাইতুল্লাহ নির্মাণ করেছিলেন। বাইতুল্লাহ নির্মাণে যা লিফটের কাজ করেছিল। অর্থাৎ প্রয়োজন অনুযায়ী এ পাথরটি হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে নিয়ে ওপরে ওঠেছিল এবং নিচে নেমেছিল।
উত্তর : হাজরে আসওয়াদ ও বাইতুল্লাহর দরজার মধ্যবর্তী কাবা শরিফের প্রাচীরই হলো মুলতাজেম। যেখানে বুক লাগিয়ে মুসলিম উম্মাহ আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া করে।
উত্তর : হাতিমে কাবা হলো রুকনে শামি ও রুকনে ইরাকির মধ্যবর্তী গোলাকার আকৃতির স্থান। যা বাইতুল্লাহর অংশ।
উত্তর : হজরত হাজেরা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) তাঁর সন্তান হজরত ইসমাইলের জন্য পানির সন্ধানে সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে দৌড়েদৌড়ি করেছিলেন।
উত্তর : ঝমঝম শব্দের অর্থ হলো বন্ধ বা থামা। হজরত হাজেরা রাদিয়াল্লাহু আনহা এ শব্দটি ব্যবহার করে বলেছিলেন ‘ঝমঝম’। যখন পানির খোঁজে বিবি হাজেরা দৌড়াদৌড়ি করছিলেন। তখন এসে দেখেন শিশু ইসমাইলের পায়ের তলা থেকে পানির ফোয়ারা প্রবাহিত হওয়া শুরু করে। তখন তিনি পানি প্রবাহিত হওয়া বন্ধের জন্য বলেন, ‘ঝমঝম’।
উত্তর : হজর ইসমাইল আলাইহিস সালাম। যার উপাধি ছিল ‘জবিহুল্লাহ’।
উত্তর : সুরা হজ। কুরআনুল কারিমের ১৭তম পারায় রয়েছে এ সুরাটি। এর আয়াত সংখ্যা ৭৮। যেখানে হজ সম্পর্কিত অনেক আয়াত রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য সুরায়ও হজের ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্নভাবে হজের আলোচনা রয়েছে।
উত্তর : ৮ জিলহজ থেকে হজ শুরু হয়। মূল হজ হলো ৯ তারিখ। আর আল্লাহ তাআলা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজকে হজের মাস হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
উত্তর : ৯ জিলহজ দ্বিপ্রহরের আগে। দ্বিপ্রহরের পর থেকে সুর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হলো হজ।
উত্তর : মুযদালিফায়। ৯ তারিখ সুর্যাস্তের পর আরাফাতের ময়দান থেকে মাগরিবের নামাজ না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওয়ানা হবে হজযাত্রীরা। খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করবেন হজযাত্রীরা।
উত্তর : না, পুরুষদের জন্য ইহরামের সময় মাথায় কিছু ব্যবহার করা যাবে না। কোনো টুপি, কাপড় বা পাগড়ি কোনো কিছুই ব্যবহার করতে পারবে না।
উত্তর : মিনাকে তাবুর নগরী বলা হয়।
উত্তর : হজের সময় তীর্থ যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি তালবিয়া পড়ে। প্রত্যেক হজযাত্রীকে অবশ্যেই তালবিয়া পড়ার মাধ্যমেই ইহরাম বাঁধার কাজ সমাপ্ত করতে হবে। তালবিয়াই হলো আল্লাহর দরবারে হাজিরা দেয়ার ঘোষণা।
উত্তর : পাথর নিক্ষেপের জন্য ৩টি পিলার বা ওয়াল রয়েছে। এগুলোকে জামারাত বা পাথর নিক্ষেপের স্থান বলা হয়।
– জামারাহ ওয়াস্তা বা মধ্যম জামারাহ
– জামারাহ আকাবা বা জামারাহ কুবরা (বড় জামারাহ)
উত্তর : আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া। প্রিয়নবি বলেছেন- ‘আরাফাই হজ।’ যারা আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে পারবে না, তাদের হজ হবে না।
উত্তর : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১০ম হিজরিতে ১বার হজ করেছেন।
ওমরা ১ : ৬ষ্ঠ হিজরিতে হুদায়বিয়ার সন্ধির বছর। যদিও সে বছর তিনি ওমরা পালনে কাবা যেতে পারেননি তথাপিও তিনি মাথা মুণ্ডন করেছেন এবং আল্লাহর নামে পশু উৎসর্গ করেছেন। আর সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় তিনি পরবর্তী বছর ওমরা পালন করবেন।
ওমরা ২ : হুদায়বিয়ার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি ৭ম হিজরিতে ওমরা পালন করেন।
ওমরা ৩ : হুনাইনের যুদ্ধ থেকে ফেরার তিনি ৮ম হিজরিতে ওমরা পালন করেন।
ওমরা ৪ : ১০ম হিজরিতে হজ সময় তিনি ওমরা পালন করেছিলেন।
No comments:
Post a Comment